জ্বলদর্চি

শংকর চক্রবর্তী


শং ক র  চ ক্র ব র্তী 

'শোকতাপ গেল দূরে'


এভাবে ঘরবন্দির অভিজ্ঞতা জীবনে আসেনি কখনও আগে। এভাবে অনেককিছুর অভিজ্ঞতাই এ জীবনে প্রত্যক্ষ করতে হচ্ছে এখন। যদিও তা আমার একার অভিজ্ঞতার ব্যাপার নয় জানি। আর জানি বলেই অনেককিছু নতুনভাবে ভেবে নেওয়ার অফুরন্ত সময় জুটে যাচ্ছে। দিনরাত ঘোর এক আতঙ্কের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে নিজেকে সঁপে দেওয়ার একান্ত আপন সময়। 'আমি চাহিতে এসেছি শুধু একখানি মালা'। তাঁর অসংখ্য গান যেন এই দুঃসময়ে আরোগ্যের হাতে স্পর্শ করে যায়। রোজ ভোরে যখন একবার নীচে নেমে ছুঁয়ে দেখতে যাই প্রিয় গাছ, ফুলগুলো, তখন তিনতলা সমান উচ্চতায় ভোরের আলোয় উজ্জ্বল হতে দেখি 'শেষের কবিতা'। আসলে আমাদের আবাসনের নাম যে 'শেষের কবিতা' রেখেছিলাম তাও দৈনন্দিন ব্যস্ততায় সর্বদা মনে পড়ত না। অথচ এই 'শেষের কবিতা'র পটভূমিতেই তো প্রায় ত্রিশটি বছর কাটিয়ে এসেছি। সেই পাইন গাছ ঘেরা ঝকঝকে পিচের রাস্তা। ওয়ার্ড লেকের পাশে ক্যামেল-ব্যাক রোডের নেমে-যাওয়া পোলো গ্রাউন্ডের দিকে।
 অমিত-লাবণ্যের শহরে আমিও তো ত্রিশ বছর ! আবাসনের প্রাঙ্গণ থেকে উঠে ঘরবন্দি হয়ে যাই ফের। আর তখনই স্মৃতি-উস্কে-ওঠা স্মৃতিগুলো তাঁর গানের ভিতর টেনে নেয় আমাকে। যা এই মুহূর্তের যাবতীয় ভয় সরিয়ে নিঃসঙ্গতার ওপর আস্থার প্রলেপ নামিয়ে দেয়। স্বাভাবিক জীবনে 'অশান্ত আজ হানল এ কী'...মনে পড়লে বিষণ্ণতায় ডুব দিতে হয়।আর তখনই মন ভালো করার গানগুলোর দিকে ছুটে যাই।

---------

Post a Comment

0 Comments