জ্বলদর্চি

নরেন হালদার


ন রে ন  হা ল দা র 

অস্তিত্বের অনুভূতি রবীন্দ্রনাথ


অনেকদিন ঘুমের পরে জেগে উঠে দেখেছি আমি একা। ঘুম মানে স্বপ্ন মানে পাওয়া মানে শরীরের প্রতি রোমকূপে বিদ্যুৎ শিহরণে তার অস্তিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া। স্বীকৃতি সেই ঈশ্বরের যার গালভর্তি সাদা লম্বা দাড়ি, মাথাভর্তি সাদা লম্বা চুল। ঠাকুর বলে অনেকেই তাঁকে পুজো করে।
      জীবনকে ভালোবাসতে চাই, যেমন করে মর্ত হয়ে ওঠে স্বর্গ। জীবন যন্ত্রণার অলংকারগুলি সজ্জিত করে তার সভা। এ সভায় বারে বারে ফিরে আসতে চাই তাঁকে অনুসরণ করে। স্থিতির মধ্যে চঞ্চলতা আর সুখের মধ্যে ইচ্ছে করে ডেকে আনা অশান্তির পুষ্পিত গোলাপ। 'এবার ফিরাও মোরে'।
      অমিত কি বলতে চাইছে - ঘড়ায় তোলা জল নাকি দিঘি? দুটোই। আর নিয়মবদ্ধ জীবনে পঞ্চকের বিদ্রোহ? সেও তো জীবনের আরেক পথ। ভেঙে ফেল আমার প্রাচীর। এ আশ্রয় নাকি অস্তিত্বের অনুভব। সংশয় নাকি তৃপ্তি। আমি বুঝি না, সে বোঝায় আমাকে। আমি ঘুমাই, নিশ্চিন্ত।
    'বড় আমি' হতে চাই, কে দেখাবে পথ? 
ছোটোর আমি থেকে যাত্রাপথের সেতু অদৃশ্য। ধরবো কিভাবে? একটি ব‌ই। সে কেবল সহযাত্রী। যখন ঘুম থেকে উঠে খুঁজি আমার আশ্রয়, আমার সংশয়, আমার চঞ্চলতা তখন আসে অনুভবের দৃঢ়তা। চোখ স্থির হয়ে যায় লম্বা সাদা দাড়িতে। পাক খেতে থাকে সুগন্ধি আনন্দেরা। সংশয় অতীত। দৃঢ়তা বাস্তব আর খেলাঘরের অনুপ্রেরণা।

-----

Post a Comment

0 Comments