জ্বলদর্চি

প্রলয় বিশ্বাস


প্র ল য়  বি শ্বা স 

'রবীন্দ্রগানের প্রথম পংক্তি সংযোজন করে একটি বিরহ-বিদায় আখ্যান


তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি।
কে গো অন্তরতর সে? তোমার মনের একটি কথা আমায় বলো, কার মিলন চাও বিরহী? কে দিল আবার আঘাত?

তুমি মোর পাও নাই পরিচয়,আমি তারেই খুঁজে বেড়াই হৃদয়নন্দনবনে নিভৃত এ নিকেতনে--সে যে মনের মানুষ।

তুমি কোন পথে যে এলে পথিক আজি দক্ষিণপবনে!! তবু মনে রেখ,যদি তোমার দেখা না পাই, আমার অভিমানের বদলে আজ তুমি কিছু দিয়ে যাও মোর প্রাণের গোপনে।জানি জানি কোন আদিকাল হতে তুমি যে চেয়ে আছো আকাশ ভরে, তবু পারি না সপিতে প্রাণ! যদি দূরে চলে যাই, দুঃখের তিমিরে যদি জ্বলে তব মঙ্গল আলোক, তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম।

আজ শ্রাবণেরর পূর্ণিমাতে সে আমার গোপন কথা শুনে, সে যে পাশে এসে বসেছিল।একদা তুমি, প্রিয়ে,বড়ো বেদনার মতো বেজেছ তুমি হে আমার প্রাণে। সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে প্রেম এসেছিল নিঃশব্দ চরণে।

আজ খেলা ভাঙার খেলা।আমার আপন গান আমার অগোচরে কার হাতে এই মালা তোমার পাঠালে, তার হাতে ছিল হাসির ফুলের হার।
দিন যদি হল অবসান, এস গো জ্বেলে দিয়ে যাও প্রদীপ খানি, এসো নীপবনে ছায়াবীথি তলে, আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় দাঁড়াও আমার আঁখির আগে।যা হবে তা হবে, যা হারিয়ে যায় তা আগলে বসে রইব কত আর ! যদি দূরে চলে যাই, এই কথাটি মনে রেখো--তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা।

বিঃ দ্রঃ--লেখাটি কাল্পনিক এবং রবীন্দ্রনাথ এর গানের প্রথম পংক্তি সংযোজিত করে লেখা।

Post a Comment

0 Comments