জ্বলদর্চি

অনুত্তম ভট্টাচার্য


অ নু ত্ত ম  ভ ট্টা চা র্য 

এই সময় ও রবীন্দ্রনাথ 


গত ২০১৯ এর নভেম্বরে চীনের ইউহান শহর থেকে মারণ রোগ করোনা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। সেই থেকে এই ভাইরাল মহামারিতে সারা বিশ্ব আজ বিপর্যস্ত। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই মারণ রোগের শিকার হয়ে ইহলীলা সাঙ্গ করেছেন। এই ঘোর সংকটের সংবাদ প্রতিনিয়ত সংবাদমাধ্যমগুলির মাধ্যমে পেয়ে বিশ্ববাসী আজ আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা প্রতিকূল পরিবেশের শিকার হয়ে বিপর্যস্ত। মাঝে মাঝে মনে হয় সৃষ্টিকর্তার এই সৃষ্টি বুঝি যায় যায়। কিন্তু পরক্ষণেই কবির বাণীই অন্তরে জেগে উঠে সাহস জোগায় ---
"বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।"

এই মারণ রোগের প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়নি। মানুষকে গৃহবন্দি করে রেখে 'লক ডাউনে'র মাধ্যমে সুস্থ রাখার ব্যবস্থা করে চলেছে সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশ। বলতে গেলে প্রতিটি মানুষ আজ গৃহবন্দি। যানবাহন চলাচল বন্ধ। শত অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে যে যেখানে আছেন সেইখানেই বন্দিজীবন যাপন করছেন। এ যেন এক অকল্পনীয় অবস্থা। মনে হয় যেন কোন অদৃশ্য যাদুকর যাদুমন্ত্র বলে 'তিষ্ঠ' উচ্চারণ করে সবকিছু অচল করে দিতে চাইছে। এ থেকে কি মানুষের রেহাই নেই? 
রেহাই অবশ্যই আছে। বিশ্বকবির বাণীকে উচ্চারণ করেই বলা যায় ---
  "দুঃখের আঁধার রাত্রি বারে বারে
এসেছে আমার দ্বারে একমাত্র অস্ত্র তার দেখেছিনু
কষ্টের বিকৃত ভান, ত্রাসের বিকট ভঙ্গী যত-
অন্ধকারে ছলনার ভূমিকা তাহার।।
যতবার ভয়ের মুখোশ তার করেছি বিশ্বাস 
ততবার হয়েছে অনর্থ পরাজয়। 

এই হারজিত খেলা, জীবনের মিথ্যা এ কুহক 
শিশুকাল হতে বিজড়িত পদে পদে এই বিভীষিকা,
 দুঃখের পরিহাসে ভরা। 
ভয়ের বিচিত্র চলচ্ছবি... 
মৃত্যুর নিপুণ শিল্প বিকীর্ণ আঁধারে।।
( দুঃখের আঁধার রাত্রি / শেষলেখা ) 

-----

Post a Comment

0 Comments