জ্বলদর্চি

শুভঙ্কর দাস


শু ভ ঙ্ক র  দা স 


এক ভুবনের ভার

ধানপুরুষ বলে যা ভেবেছ,
তা আসলে মাটিতে ঘর্মাক্ত পায়ের ছাপ। 
নারীছায়া বলে যা ভেবেছ,
তা আসলে মাটিগর্ভের সবুজ আঁচল।

জন্ম আর মৃত্যুর মাঝে যদি ঘটে যায় চক্ষুদান

তবে দেখতে পাবে

মাঠে মাঠে শস্য নয়,প্রণাম ফলে আছে!

প্রেম


চোখের জলে গাছ হয় না,কিন্তু ছায়া হয়।

সেই ছায়ায় যাকে ভালো লাগে,তাকে প্রেমপ্রস্তাব দাও
সফল যদি নাও হও,মনে রেখো,প্রত্যাখ্যানও এক ধরণের সম্পর্ক।

কী এমন ক্ষতি হৃদয় যেখানে হারে,
সেভাবে দেখলে,ছাদে যাওয়ার দরজাটাও
প্রেমিকা হতে পারে!


বাঁশি

ভিক্ষে করে বাঁশি হয়তো পাওয়া যেতে পারে,
সুরটি নয়।

সুরের জন্য বুকের শ্বাস লাগে।

চুম্বনেও তাই।

বাঁশি যদি বাজাতেও নাও পারো
অন্তত বাঁশিটি হয়ে ওঠো,অশ্রুতে,অনুরাগে।


সুখফকির

জন্ম থেকে কান্না পেয়েছ
তাই সত্যিকারের হাসতে দেখলে
দিনটা সেই হাসি ছুঁয়ে ছুঁয়ে আলো হয়ে যায়!

বুদ্ধ বললেন,জগতের দুঃখ দূর করব।
মহম্মদ বললেন,মানুষকে ভালোবাসলেই দুঃখ দূর হয়।
শ্রীরামকৃষ্ণ বললেন,দুঃখ থাকলে লীলাখেলা পোস্টাই হয়।

ভাতে কান্না, রাতে কান্না, হাতে কান্না অতি চমৎকার! 

মা বললেন,আঁচলে দুঃখের পাশে একটু জায়গা করে শুয়ে পড় বাবা
গল্প শোন,রূপকথার।

গাছ

গাছটা শুয়ে আছে মৃত মানুষের মতো,তার ডালপালা এখনও গরম রক্তপ্রবাহের কাকুতি নিয়ে আকাশ দেখে নিচ্ছে! 

মানুষটা নানা নিয়ম-আচারে মধ্যে দিয়ে হয় পুড়ছে বা মাটির নীচে চলে গেল,চোখের জলে ঝুল পড়তে না পড়তেই

সবকিছু স্মৃতি ফিকে,আলোচনায় বাদ!

গাছটি এখনো আকাশ দেখে দেওয়াল ভেদে, নতুন আসবাব! 

-------

Post a Comment

4 Comments

  1. ভালো লাগল। প্রেম শ্রম...কে অনন্য দৃষ্টিতে দেখেছেন কবি।

    ReplyDelete
  2. সবগুলো পড়লাম। ভালো লাগলো।

    ReplyDelete